Tuesday, March 8, 2011

শ্রাবনের মেঘ.


বারবার ভাবি, আমি আমাতেই ভালো,
শ্রাবনের অভ্র পানে চেয়ে আর
অক্ষিতে বারি জমাবো না।
আপন লোচনে যে জমা জল,
তাতেই ভিজে নিজেকে করি সজল,
দক্ষিণা সমীরণের আশায় ঐ তটে আর হাঁটিব না।

শ্রাবনের মেঘ
যেন চৈত্রের আকাশে,
কখনো এক চিলতি হাসি কিংবা
হটা ঝড়ে যাওয়া ক’ফোটা জল।
আর আমি??
চৈত্রের খরতাপে পোড়া একমুষ্টি ছাই !
কখনো ভিজে মৃত্তিকায় একাকার,
কখনো শুখিয়ে বাতাসের হস্ত ধরে,
তোমার দেহে করি ঠাই, বিনম্র বসবাসের আশায়।

কিন্তু !! আবার সেই শ্রাবনের মেঘের বারি,
তোমার কায়া হতে আমায় করে আড়ি।
আমি আবার পথ-গিরি ধরে,
অলকের ঘ্রান শুঁকে তোমারই খোঁজে,
ঘুরি এই বসুমতি, নিজকে করি নিরলস।

শ্রাবণের মেঘ!! এ যে মরিচিকা,
শশিকে হাসিয়ে রবির চোখে আনে জল।
দিবসে আনে রজনীর ছায়া,
রজনীতে সাদা কালো মেঘের খেলায়
চপলা হেসে যায়, আর আমি দেখি তোমার বদন।

আবার শ্রাবনের মেঘ,
আবার এক চিলতে হাসি কিংবা
হটা ঝরা ক’ফটা জল।
আর আমি??
তোমাকেই খুজে ফিরা- এক থেকে শুন্য অবধি।


No comments:

Post a Comment