Wednesday, November 24, 2010
পথ শিশু।
তিন রাস্তার গলির কোল ছুয়ে
ছুটে চলা একটি বালক,
পিঠেতে ঝুলানো চটের থলে
তোমার ফেলানো আবর্জনায় সে অন্ন খুজে।
বয়স তার দশ এগার
বিদ্যাতে যাওয়া হয়নি কখনো,
জন্ম অবধি হয়নি দেখা পিতৃমুখ
মাতাতেই মিলে তাই তার রাজ্যের সূখ।
কখনো বৃষ্টিতে সে-কখনো রোদ্রে হাহাকার
কখনো ধুলোয় লুটিয়ে দেহ-মাটি করে একাকার।
কখনো কেদে কেদে তার যায় বেলা
কখনো মিশে যায় অর্থহীন হাসির খেলায়।
স্বাধীনতা কি সে বুঝে না
তবুও উপভোগে সে অসুস্থ স্বাধীনতা।
অভাব কি সে জানে না
তবুও সকল চাওয়ার অপূর্নতা ।
জীবন ধর্ম তার হয়না শেখা
তবুও মানুষ্য চেহারায় তার বেড়ে উঠা।
কখনো সুউচ্চ দালানে আটকে যায় তার জোড়া চোখ,
কখনো থমকে দাড়ায় আধুনা গাড়ির শব্দে,
কখনো তার লুলুপ দৃষ্টি দোকানীর খাবারে,
কখনো হারায় মন কারো রং বেরং এর ভূষনে।
স্নেহ মমতার পরশ তার হয় না পাওয়া,
আত্নীয়তার বন্ধন তার হয় না জানা।
সমাজ সভ্যতা তার হয় না মানা,
এভাবেই কাটে তার জীবনের বেলা।
ভাবছে বসে, সূউচ্চ দালানে বাস করে ভিন্ন কোন জাতি,
নিজকে সে পিপড়া ভেবে-ভাবছে তাদের হাতি।
পথ-ই তার জন্ম জীবন, সে যে পথ শিশু,
পশুতে তার মিল হয়েছে-মানুষকে ভাবছে যীশু।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment