Thursday, November 25, 2010

চাঁদ!!

আজ ঘুমাবো না!
রাত্রি যতই হউক না গভীর,
নিরবতা যতই ঢাকুক এ শহরকে,
আমি চাঁদের অস্ত যাওয়া দেখব।

আজ স্বপ্ন ভঙ্গবো না!
যতই না আসুক ঝড়,
চলুক না অনবরত কোলাহল,
আমি চাঁদের হাসিতে মন রাঙ্গাবো।

আজ দৃষ্টি হারাবো না!
আসুক না অক্ষিতে রঙ্গের ছোয়া,
জমুক না ধুলো-বালি মনি কোঠরে,
আমি চাদের পানে চেয়ে নিজকে হারবো।

কার মাঝে আমি?

ফেলে আসা দূর দৃষ্টি কিংবা
ক্ষনিকের হারানো মন,
মাঝ রাতের খন্ডিত স্বপ্ন কিংবা
থমকে যাওয়া কোন ভাবনা,
আমায় ভূলায় আপন জগৎ।


তিমির আধারে নির্ঘুম রাত্রি,
নীড়হারা পাখির ক্রন্দন,
অশ্রুতে মিশে থাকা বর্নহীন রং আর
আমায় নিয়ে তার কবিতা,
আমার গ্রহে নামায় বিষাদ।


কি যেন ফেলে এসেছি কিংবা
কি যেন পাইনি,
কি যেন হারিয়েছি কিংবা
কি যেন খূজছি,
যাহা হারালাম তাহা তো চাইনি আমি,
যাহা চাইলাম তাহা খুজে ফিরে আর কতকাল?


রাত,ঘুম আর প্রভাত,
মাঝখানে স্বপ্ন।
এরপর একটা দেীড়
আমাকে নিয়ে চলে আপন ঘরের দড়জায়।


পথ মাঝে আমি ভাবি,
স্বপ্ন কি ছিল?
অশ্রু ঝড়া ব্যথা না ফুল ঝড়া হাসি?
পা্ওয়ার পূর্নতা নাকি হারানোর শূন্যতা?


এভাবেই দিন মান,ক্ষন যায়
শিশু হারায় কৈশরে,কিশোর হারায় যেীবনে।
যেীবনকে আর যায় না পাওয়া বার্ধকের জলছাপে।


তাই খুঝে ফিরি নিজকে!
কোথায় হারালাম?কার মাঝে?
আপনাকে হারিয়ে পাইলাম কারে,
আপন গ্রহের এই ভাঙ্গা ঘরে?

রক্তিম আধার

ভাবনা থেকে দূরে কোথাও
আলোকিত দূপুর পেরিয়ে কিংবা অন্ধকার রাত্রি ভেঙ্গে,
সময়কে বদলে দিয়ে তুমি এসো
নিবৃত এই আধারে।

অতীতকে মুছে দিয়ে চল স্বপ্ন বুনি,
রাত্রিকে ঢেকে দিয়ে চল সূর্যি আনি।
দূর আকাশের কালো মেঘ সরিয়ে
চল চাদ কে হাসাই।

নিবৃত কান্নার ঐ বাশি থামিয়ে দাও,
এলোমেলো সব কাজ গুছিয়ে নাও,
বিক্ষিপ্ত গতিপথ বদলে দিয়ে কক্ষে আসো,
চল খুজে নেই আপন ঠিকানা।

চল অসীমের মাঝে নিজকে বিলাই,
চল সত্যের মাঝে নিজকে ভাবি,
চল নিরব রাত্রিকে শান্তিতে ঢাকি,
চল আধারের মাঝে আলোর প্রদ্বীপ জালি।

চল অশ্রু থামিয়ে একটু হাসি,
চল সীমা হারিয়ে অসীমে ছুটি।
চল আমাকে আমি ভালবাসি
শুধু তোমার জন্য।


ভালবাসা যতই গোপন ততই মধু,
যতই গভীর ততই সুধা,
যতই অনুভব ততই ব্যকুলতা,
চল আপনাতে হারাই আপন যত আকুলতা।

চল স্বপ্নে হারাই, স্বপ্নে বাধি ঘর,
চল হাতে হাত রাখি বেধে দূর করি যত ঢড়।
চল সূখের স্রোতে ভেসে যাই,
আপনাতে গড়ে আবার আপনাতে হারাই।

কালো ফুলের মাঝে মাতাল সুবাশ,
আধারের মাঝে আলো আবাশ,
রক্তিম আলোতে নয়
চল রক্তিম আধারে আপন খুজি নিবাস।

তুমি হও পথ !

আমি পেয়েছি তোমায় হারানো পথের বাকে
কিংবা অসম্পূর্ন কবিতায়।
কখনো ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নের মাঝে,
কখনো নিস্ফলক দৃষ্টির সীমানায়।

তোমায় দেখেছি মেঘে ঢাকা চাদের মাঝে,
কখনো বিষন্ন বিকেলের আঙ্গিনায়।
কখনো রক্তিম আভা ছড়ানো সূর্যে,
কখনো মিশে গেছ মেঘের কান্নায়।

তোমায় দেখেছি নীড়হারা পাখিদের ভীড়ে,
কখনো মিশেছ সূরহারা গানে কিংবা
ছন্দহারা কবিতায়।
কখনো হারিয়েছ উদ্দেশ্যহীন গল্পের মাঝে।

কিন্তূ!!
আমি তোমার মাঝে যে আলো দেখেছ
সে আলোয় হাজার শহর আলোকিতত।
যে স্বপ্ন দেখেছি
সে স্বপ্নে হাজার প্রান সজীবীত।
যে আশা দেখেছি
সে আশায় হাজার জীবন পেল খুজে পথ।

তুমি যদি পথ হও
আমি খুজি পথ,
তোমাতেই হেটে চলি আমি নিরন্তর।

আমি যদি পথ হই
তুমি খুজো পথ,
আমাতেই হেটে চল তুমি নিরন্তর।

Wednesday, November 24, 2010

তম !!

রক্তিম আলো নয়,
রক্তিম আধার চাই।
সূর্য হাসা কোন ভোর নয়
কুয়াশা ঢাকা প্রভাত,
পূর্নহাসা কোন চাদ নয়
মেঘে ঢাকা চাদ খুজি।

দিন থেকে অনেক দূর চলে এসেছি
রাএিকে ভালোবেসে,
লোকালয় ছেড়ে নির্জনে আমি
নিসঙ্গতাকে জড়িয়ে।

সূখকে পেছনে ফেলে
বেদনাতে আলিঙ্গন,
বাকা হাসি মুছে দিয়ে
অশ্র্ সিক্ত দু’নয়ন।
অধরায় যাহা রহিয়াছে
তাহার পানে চেয়ে,
রহিয়াছে যাহা বাহুডোরে
ছাড়িলাম তাহা নিঃসংকোচে।

উল্লাসিত রজনী চাহি না
খুজে ফিরি নিরব রাএি,
আলোকিত শহর ছেড়ে
ভেলা ভাসাই গহীন দ্বীপে।

সহস্র বন্ধুর ভীড়ে
মন বিলাই না সূখের তরে,
আগমন হেথা প্রহর গুনে
রাএি ভেজাই তোমার মনে।

নিস্কণ্টক কোন পথ চাহি না
রক্ত ঝড়াই পদ চিহ্নে,
নিদ্রিত রাএি চাহি না আর
নিস্ফলক আখি তোমারো পথ পানে।

(চলবে)

মুক্তি !

মুক্তির মিছিলে প্রহর গুনে
মুক্তি মিলছে না কারো,
অগোছরে কেউ গর্ম ঝড়ায়
জুটছে হতাশা আরো।

রাজা বসে তার আসনালয়ে
সিংহাসন বড় ভারী,
মুক্তি মিলে কি তার ক্ষনিকের তরে
অবকাশে দেয় পাড়ি।

মন্তী বসে গুরূ চিন্তায়
হচ্ছে নাভিশ্বাস,
আশ্বাস ভেঙ্গে প্রজা সাধারনের
হারিয়েছে বিশ্বাস।

ধনের তরে ধন পূজারী
মাথায় দিয়েছে হাত,
ধনের লয়ে বিনিদ্র রজনী
কাটে না যে তার।

বিদ্বান ভাবে বসে বসে
কিসে মুক্তি হে ভাই,
মুক্তির শত উপায় লিখেও
জীবনের খাতায় মুক্তি নাই।
প্রেমিকের মাথায় প্রেমিকার আবদার
একে একে জমেছে ভীড়,
দাবি পূরনের অসঙ্গতিতে
না জানি ধরে সম্পর্কে চিড়।

অভাবীর অভাব নিত্য স্বাভাব
মুক্তি মেলা দায়,
মুক্তির খোজে দ্বারে দ্বারে সে
করে যে হায় হায়।

কবি তার মুক্তি খোজে
পদ্যের ছন্দে,
ছন্দ মিলাতে গিয়ে কবি তাই
পড়েছে অর্থের দ্বন্ধে।

মুক্তি নামের মুক্তা পেতে
খুজছে কাদা মাটি জল,
মুক্তি পেতে পূর্ন নিয়ে
আপন দেশে চল।

স্বপ্নের জাল

মন ভালো নেই, তবুও
মন ছুটে চলে উদাস হাওয়ায়।
প্রভাতের আবির ছুয়ে কিংবা
সন্ধার দূর আকাশের রক্তিম আভা।
নিভৃত কান্না শুনে রাত্রি থমকে দাড়ায়,
আকাশের বুকে মেঘমালা নিরবে বারি ঝড়ায়।

নিরব দৃষ্টি উদাস পথে,বা
শুন্য দৃষ্টিতে অসীম আশার পশরা,
মনের ঘরে আলো ছড়িয়ে কিংবা
ছুয়েছে রাতের স্বপ্নের পূর্নতা।
এমনই আশার মুগ্ধ হাসি দুঠোটের মাঝে খেলে যায়,
নব চাদের স্নিগ্ধ হাসিতে রাত্রি ঠিকানা খুজে পায়।

প্রজাপতির ডানার নতুন আলপনা, কিংবা
অদ্ভূত দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা অক্ষিগোলকের সূদূর ঠিকানায়,
জোসনা রাতের আলো আধারের খেলায়, অথবা
ঢেউ এর তালে নৃত্যরত ভেলায়।
যে কথা নিত্য স্বপ্ন আনমনে আশা জাগায়,
স্বপ্নের জাল বুনে আশাগুলো জীবনে বাসা বাধায়।

পথ শিশু।


তিন রাস্তার গলির কোল ছুয়ে
ছুটে চলা একটি বালক,
পিঠেতে ঝুলানো চটের থলে
তোমার ফেলানো আবর্জনায় সে অন্ন খুজে।

বয়স তার দশ এগার
বিদ্যাতে যাওয়া হয়নি কখনো,
জন্ম অবধি হয়নি দেখা পিতৃমুখ
মাতাতেই মিলে তাই তার রাজ্যের সূখ।

কখনো বৃষ্টিতে সে-কখনো রোদ্রে হাহাকার
কখনো ধুলোয় লুটিয়ে দেহ-মাটি করে একাকার।
কখনো কেদে কেদে তার যায় বেলা
কখনো মিশে যায় অর্থহীন হাসির খেলায়।

স্বাধীনতা কি সে বুঝে না
তবুও উপভোগে সে অসুস্থ স্বাধীনতা।
অভাব কি সে জানে না
তবুও সকল চাওয়ার অপূর্নতা ।
জীবন ধর্ম তার হয়না শেখা
তবুও মানুষ্য চেহারায় তার বেড়ে উঠা।

কখনো সুউচ্চ দালানে আটকে যায় তার জোড়া চোখ,
কখনো থমকে দাড়ায় আধুনা গাড়ির শব্দে,
কখনো তার লুলুপ দৃষ্টি দোকানীর খাবারে,
কখনো হারায় মন কারো রং বেরং এর ভূষনে।

স্নেহ মমতার পরশ তার হয় না পাওয়া,
আত্নীয়তার বন্ধন তার হয় না জানা।
সমাজ সভ্যতা তার হয় না মানা,
এভাবেই কাটে তার জীবনের বেলা।

ভাবছে বসে, সূউচ্চ দালানে বাস করে ভিন্ন কোন জাতি,
নিজকে সে পিপড়া ভেবে-ভাবছে তাদের হাতি।
পথ-ই তার জন্ম জীবন, সে যে পথ শিশু,
পশুতে তার মিল হয়েছে-মানুষকে ভাবছে যীশু।

ও হে মানব!!

ও হে মানব!!
দীপ জালিয়েছ তুমি দেখব বলে !!
হায়!! চোখ মেলে তুমি যাহা দেখিয়াছ,
সেইসব তো সবাই দেখে,
তবে তুমি ভিননই কি দেখিয়াছ?
তোমার চোখ কি? মানুষের চোখ?
ঠিক কি হিস্র ব্যগ্র চোখের মতো দেখ? নাকি,
শখুনের সূদূর দৃষিটতে যাহা দেখে, তুমি তাহাই দেখ?

তুমি দীপ জালিয়েছ দেখব বলে !!
বলতো তুমি কেমন দেখ?
সপ দৃষিটতে যাহা দেখে তাহা দেখ নাকি,
সিংহের তীক্ষ দৃষিট তোমার দৃষিটর মাঝে মিশে গেছে !

সত্যের সমূখে যে তুমি বিনম্র ছিলে,
সে তুমি আজ উমমমাদ.
মিথ্যার অভিমূখে যে তুমি বীর ছিলে,
সে তুমি আজ নিবাক.
পাতক তোমায় ঘিরিয়া নিয়াছে,
বাধা পরিয়াছ কোন কুহকে?

ব্যাথার বাত্যা

সমর্ সৈনিকের আহত ব্যাথা,
বিনিদ্র রাএির পথহারা পথিক,
ঘোর আধারের সঙ্গীহারা একলা পাখি,
পাথর শোকে স্তব্দ নিস্পলক আখি।
কিংবা,
জীবনের মাঝ পথে স্বপ্নহারা যুবক,
সীমাহীন আশার পথে স্রোতহারা নদী,
ফ্রেমে বন্ধী বাকরূদধ কোন ছবি,
কে বুঝিবে কাহার ব্যাথা-আপনাতে সে দূঃখ না লয় যদি।
রাএির অন্ধকারে সাদা বক চলে না,
তিমির অনধকারে নিশাচর ঢড়ে না,
ডাঙ্গায় তোলা মৎসের বেদনা,
বুঝিবে সে কি-যার ডাঙ্গায় চলন আজীবন।


ভাঙ্গা হদয়ের মর্ম কথা কিংবা দূঃখীতের চোখের জল,
অনুভূতি হারানো জীবনের প্রলাপ,
সজনহারা জনের ব্যাথা,
চিত্ত সূখের আনন্দলোকে কখনো মিলিবে কি?


আশার নেশায় যে আখি নিস্ফলক,
দেয়ালর বাধায় যে দৃষিট অবরূদ্ধ,
ভয়ের অন্তরালে যে কথা নির্বাক,
অসীম স্বাধীনতায় তাহার মর্ম বুঝিবে কি?


যে রহিয়াছে পড়ি অনাদরে অনাবৃত,
অন্নাভাবে যাহার প্রান উষ্টাগত,
একটুখানি বিশ্রিমে যাহার মাথায় নেইকো ছায়া,
অট্রালিকায় বসে উদরপূর্ন তুমি-তাহার মর্ম বুঝিবে কি?


ব্যাথার বাত্যার উঠিয়াছে যাহার ঋদয়ে,
দহনোকলে যাহার অনতর পুড়িয়াছে,
দৃষিট যাহার সীমানা ভেদিয়া অন্যলোকে
রঙ্গমহলে আনন্দ আসরে তাহার মর্ম বুঝিবে কি?


একটি থমকে যাওয়া পদ,
একটি সিথর দৃষিট কিংবা
একটি ডানা ভাঙ্গা পাখির আত্নচিৎকার,
তোমায় কভূ সপর্শ করিয়াছে কি?


যে দৃষিট অবনত হইয়া গিয়াছে,
যে সময় গতিহীন হইয়া পরিয়াছ,
যে কথা সকলে ভূলিয়া গিয়াছে,
যে স্মৃতি এখন গল্পের ফাদে,
আমি আজ সেখানেই করিতেছি হাহাকার
তোমাদের অট্রহাসির মাঝে।


বন্ধ চোখে নীল আকাশ বিচরন,
শূন্য হৃদয়ে ভগ্ন কথা,
আকাশ পানে ছুটে চলা একফালি মেঘ,
আশাহীনতায় তবু নিরন্তর চেয়ে থাকা
যেন সপন হয়ে আসে আশা।
স্তির সময়ের অসহ্য বারতা,
বোবা হৃদয়েয় নিঃশব্দ কান্না,
ব্যার্থ আশাগুলো খন্ডিত পাথরের মত বুকে চাপা,
দীর্ঘশাশের ঝড়ে যার ভাঙ্গে ঘর
তাকে অনুভবের সাধ্য কি তোমার?


যার পায়ের তলার মাটি খসে যায়,
যার দৃষ্টির তরঙ্গে রং খেলে না,
যার আশার প্রজাপতি ডানা ভেঙ্গেছে,
যার সন্ধা প্রদীপ নিভে গেছে,
সময়ের বারতা যাকে সুধায় শুধু অশনি সংকেত,
এহেনের সঙ্গে সঙ্গ বাধবে কি?


যাহার সময় আধারে ঢেকেছে,
যাহার গান বেদনার সুর তুলেছে,
যাহার সঙ্গ একাকিতে ধরা পরেছে,
যাহার কবিতায় হৃদয় ছুয়েছে,
যাহার গল্পে অশ্রূ ঝড়েছে,
এমনজনের হাতে তুমি রাখি বাধিবে কি?


একটি ভাঙ্গা পথ,
একটি ঝড়া গোলাপ,
একটি কবিতার দুটো লাইন,
একটি গলেপর কিছু কথা,
নিরবে ভাঙ্গা মাঝ রাএি কিংবা
হঠাৎ দেখা সপেনর খণ্ডিত অংশ,
এসব কি তোমার হৃদয় সপর্শ করে না?


ভাললাগা কোন আধার কিংবা
নিরবে ঝড়ে যাওয়া দুফোটা চোখের জল,
দিনাবশেষে নেমে আসা সন্ধা কিংবা
মেঘে ঢাকা পূনির্মা চাদ,
তোমার মনে কি কখনো ঝড় তোলে না?


হাসি যাহার হৃদয় শ্পর্শ করে না,
আনন্দ যাহার মনে ঢেউ তোলে না?
রাঙ্গা প্রভাত যাহাকে স্বপ্ন দেখায় না,
পূর্নিমা যাহাকে আলোকিত করে না,
তাহার জীবন পথের প্রদীপ তুমি জ্বালাবে কি?

শুভ্র সন্ধা

হৃদয় মন্দিরে যে ইনকিলাব হয়েছে শুরু,
না করিতে পারি অপলাপ তাহা,
হয়তবা অভিনিবেশ হবে না তোমার কখনোই
হৃদয় মরিবে আপন ক্ষিতিতলে।

হৃদয় বুঝি হৃদয় চিনিয়াছে!
তাই ছুটে চলে তোমার পানে অনবরত,
কতকাল করিয়াছে তোমার প্রহর প্রতিক্ষা,
কাটিয়াছে কত নিশা বিনিদ্র নয়নে।

অন্তরীক্ষে আজ অভ্র খেলে না,
তরঙ্গীনীতে আজ তরঙ্গ খেলে না,
জলধিতে আজ নিবির সমীরন,
নিশাকর তাই মেতেছে পূর্নস্নানে।

তনুমনে শিহরন,
হর্ষচিত্তে সলিল ঝড়িল নেএনলে,
আমাতে বুঝি পূর্নতা পেল আজ
তোমারই আগমনে।

যদি পার তুমি প্রানের সাথে মিশে যাও,
যদি পার হৃদয়ে হও একাকার।
রাঙ্গাও প্রভাত আবির দিয়ে,
স্বপ্ন আন সর্গ চেয়ে।

মেঘ ছিড়ে চাদকে আনো,
কাটা ভেঙ্গে ফুলকে পাড়,
রাএি ভেদে সূর্যি ডাক,
দূঃখ ঢেকে সূখকে রাখ।
আজি এই হর্ষ চিত্তে,
হইয়া বিহগ করিব ভ্রমন পূর্ন ধরনী।

(চলবে)