Friday, February 25, 2011

সুপ্তি !


তোমার নিস্পলক তাকিয়া থাকা কিংবা
একদল সাদা বক শুন্য আকাশে গন্থব্যহীন,
রাতের শেষ প্রহরে ঝরে পড়া একফোঁটা অশ্রু,
কিংবা শূলীতে ঝুলানো জীবন!
অনুভুতির এহেন কর্মে
আমি তোমায় দেখেছি বড়ই নির্বাক,
শুধু দৃষ্টিকে শুন্যে ভাসিয়ে
কোথায় যেন হয়েছ একাকার !!

তোমার বরফ জমা ভাবনায়
আমার ডুবার সাধ্য কি?
তোমার দূর শহর ছারিয়ে যাওয়া  দৃষ্টিতে
আমার দৃষ্টি মিলানোর সাহস কি?

আমি দেখছি তোমায় প্রলয়ের রাতে
দাঁড়িয়ে আছো বড়ই অনড়,
বিচ্যুত নও, বিচলিত নও, রয়েছ নির্বিকার।
প্রলয়ের ঝড়ে প্রকৃতি হয় একাকার,
আর তুমি !! শত আঘাত সয়ে তির্যক হাসিতে,
প্রকৃতিকে করেছো উপহাস।

তুমি কখনো সুপ্ত আগ্নিগিরির মাঝে,
যেন হাজার বছর ধরে আপন গৃহে বসবাস,
তবু অগ্নুপাতে নেই অভিলাষ।
না, না, তোমার অগ্নিতপাতে ও ভয় নেই !
এ যেন এক প্রজ্বলিত শিখা,
আলোকিত করে শহর থেকে শহর,
হৃদয় কে করে সমাগম।

তুমি কখনো গভীর হতে গভীর,
মহাসাগরের তলদেশ হতে আর গভীরে।
আমি তোমার গায়ে পাথর ছুড়ে দেখেছি,
আঁচড় কেটেছিল, রক্ত ঝরেছিল কিন্তু
শব্ধ ফুটেনি।

হাজার বাক্যবাণ ছুড়েছি তোমার প্রতি,
ভেবেছি ফিরবে কিছু শব্ধ,
না, কিছু নয়, হয়ত একটি কিংবা দুটি-
তাও অস্পষ্ট !!
তোমার এহেন গভীরতা আমায় বিমুগ্ধ করে,
তবুও হারাবার সাহস হয়না তোমাতে।

ভেবেছিলাম তোমায় দর্শন শিখাবো,
জীবনের দুএকটি কথা, অন্তিম হতে শুরুর কথা,
যখন বলতে শুরু করলাম,
তোমাতে সুপ্ত দর্শন আমাতে করিল গ্রাস,
আমি দর্শন শাস্রের শিস্য হলাম।

আমি তোমাকে আনন্দে দেখেছি,
উম্মাদনায় দেখেনি,
রাত্রির অগোচরে স্নিগ্ধ হাসিতে দেখেছি,
উল্লাসে মাতনি।
দেখেছি জীবন গন্তবের অভিমুখে তোমায়,
তুমি এক নিরব যাত্রী।

তুমি আমার সুপ্তি,
জীবনের এই কোলাহল থেকে অনেক দূরে,
অনুভুতির বলয়ের নিরব প্রলয়ে,
আমার সুপ্তির বসবাস !











No comments:

Post a Comment